টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে কিছুটা হতাশ মাশরাফি বিন মুর্তজা। এমন হারে দলের কোচিং প্যানেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দলের কোচিং প্যানেলের সিংহভাগ সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকার অখ্যাত কোচ হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
জাতীয় দলের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকা রাসেল ডমিঙ্গো একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকও তাই। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার আগে একটি একাডেমির কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়া দলের ফিজিও জুলিয়ান কালেফাতোও এই দুজনের স্বদেশী।
ডমিঙ্গো দায়িত্ব নেয়ার সময় বোলিং কোচের দায়িত্ব পাওয়া শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টও ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার আগে উল্লেখযোগ্য কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না এদের কারোরই। এ কারণেই ক্ষেপেছেন মাশরাফি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, এখন টিম ম্যানেজমেন্ট দেখলে মনে হয় একটা রিহ্যাব সেন্টার, যেখানে সাউথ আফ্রিকার সব চাকরি না পাওয়া কোচগুলো একসাথে আমাদের রিহ্যাব সেন্টারে চাকরি করছে। এদের বাদ দেওয়া আরও বিপদ, কারণ চুক্তির পুরো টাকাটা নিয়ে চলে যাবে। তাহলে দাঁড়াল কি, তারা যতদিন থাকবে আর মন যা চাইবে, তাই করবে।
দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক লিখেছেন, হেড কোচ এক-এক করে নিজ দেশের সবাইকে আনছে, এরপর যারা অস্থায়ীভাবে আছে, তাদেরও সরাবে আর নিজের মতো করে ম্যানেজমেন্ট সাজাবে। তাও মেনে নিলাম কিন্তু রাসেল (হেড কোচ) ম্যানেজমেন্টের জন্য যেভাবে স্টেপ আপ করে, মূল দলের জন্য তাহলে লুকিয়ে কেন? কেন তামিম, মুশফিক, রিয়াদ ভালো থাকে না? এটা ঠিক করা কি তার কাজ না?
এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের কারণে অনেকেই দোষারোপ করছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। মাশরাফির মতে, কোচিং স্টাফদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তাও পান না মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকুর রহিমরা।
মাশরাফি আরো লিখেন, সিদ্ধান্ত রিয়াদ নেবে। কিন্তু ওকে তো হেল্প করতে হবে! কারণ মাঠে ক্যাপ্টেন কখনও কখনও অসহায় হয়ে পড়ে। আর ঠিক তখনই টিম ম্যানেজমেন্টকে টেক অফ করতে হয়। অন্যান্য দলে তো তা-ই দেখি।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.