কেরালায় বৃষ্টির তাণ্ডব চলছে। বন্যা ও ধসে মারা গেছেন এখর পর্যন্ত ২১ জন। যদিও বৃষ্টি শুরু হয়েছিল শনিবার। তারপর অঝোরে বৃষ্টি পড়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টি একটু ধরলেও ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। বন্যা, ধসে বিপর্যস্ত বহু এলাকা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইদুক্কি ও কোট্টায়াম জেলার। সেখানে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। বহু স্থানে ধস নেমেছে। তীর্থযাত্রীদের আপাতত সবরিমালা মন্দিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কোট্টায়ামে মারা গেছেন ১২ জন। কিন্তু আবহাওয়া খুবই খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে রাজ্যজুড়ে বাঁধগুলোতে জলের পরিমাণ খুবই বেড়ে গেছে। ফলে মানিয়ার বাঁধসহ অনেকগুলি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের অনুরোধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরব সাগরে নিম্নচাপের ফলে এই অবস্থা হয়েছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে করোনাবিধি মেনে তাদের রাখা হচ্ছে। যারা এখনো ভ্যাকসিন নেননি এবং যাদের অন্য গুরুতর অসুখ আছে, তাদের প্রতি বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। কেরালায় এখনো করোনাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তাই প্রশাসন বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পরে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘কর্মকর্তারা উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ করছেন। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করি।’
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, কেরালাকে সব ধরনের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাহুল গান্ধী এখন কেরালার ওয়েনাড়ের সাংসদ। তিনি বলেছেন, ‘আমার মন কেরালার দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছে।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.