আমি খুবই হতাশ: মাহমুদউল্লাহ

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানের হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টাইগারদের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছে স্কটিশরা। এদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় খুবই হতাশ মাহমুদউল্লাহ। তুলনামূলক খর্বশক্তির দল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় মর্মাহত হয়েছে ওমান ও সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশের সমর্থকরা। দর্শকদের হতাশ করার কথা অকপটে স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সমর্থকরা দারুণ ছিল। মাঠটাও দারুণ। উইকেটও বেশ সুন্দর। আমরা খুব ভালো সমর্থন পেয়েছি। আমি মনে করি, আমরা তাদের হতাশ করেছি।’

আর আমেরাত স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৪০ রান করেছে স্কটল্যান্ড। জবাবে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩৪ রান করে থেমে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। শেষদিকে শেখ মেহেদি ৫ বলে ১৩* রান করলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর হতাশা লুকাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। কোনো রাখঢাক না রেখেই তিনি জানিয়েছেন ‘ফ্রাস্টেটেড’ না হওয়ার কোনো উপায় নেই। বিশেষ করে দলের ব্যাটসম্যানদের অফ ফর্ম মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগার অধিনায়কদের।

রিয়াদ বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমি মনে করি, এসব উইকেটে ১৪০ রান অবশ্যই অতিক্রম করা যেত। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা অনেক কিছুই ঠিকভাবে করতে পারিনি। আমাদের সেসব জায়গায় নজর দিতে হবে। যেন আমরা সেখানে ভালো করতে পারি। িআমরা এখন যদি এই জিনিসগুলা খেয়াল না করি, আগামী ম্যাচগুলোতে একই ভুল গুলো করি, তাহলে সামনের ম্যাচগুলোতেও ভালো কিছু হবে না খুব সম্ভবত।’

এই ম্যাচের আগেই বাংলাদেশকে রীতিমত হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন স্কটিশ কোচ শেন বার্জার। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশকে তারা ওমান-পাপুয়া নিউগিনির কাতারেই রাখছেন। ম্যাচ জিতে তার শিষ্যরা কোচের কথার মর্যাদা রেখেছেন বেশ ভালোভাবেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের বাকি দুই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। যথাক্রমে আগামি ১৯ এবং ২১ অক্টোবর একই স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে তারা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.