ওভাল টেস্টে ভারতের বিপক্ষে হারের পর স্বাভাবিকভাবে হতাশ জো রুট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে আরও একশ রানের কমতি এবং পুরো টেস্টে কয়েকটি ক্যাচ মিস ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন দলটির অধিনায়ক। ভারতের দেওয়া ৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার ররি বার্নস ও হাসিব হামিদের ব্যাটে ভর করে জয়ের আভাস পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিন দুই ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করেছিলেন ৭৭ রান। তবে পঞ্চম দিন ব্যাটিংয়ে নেমে অবিশ্বাস্যভাবে হাতে থাকা দশ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ১৫৭ রানে হেরে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ইংলিশরা। পঞ্চম দিনে এসে পুরো দশ উইকেট খোয়ালেও কেবলমাত্র এই বিষয়টিকে ম্যাচ হারার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন না রুট। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১৯১ রানে অল আউট করলেও নিজেরা বড় রকমের লিড নিতে না পারা ও কয়েকটি ক্যাচ মিস ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯০ রান করলে ৯৯ রানের লিড পায় তারা। সেই লিড আরও বড় হওয়া উচিত ছিল বলে উল্লেখ করে রুট বলেন, ‘ব্যাট হাতে আমাদের প্রথমবার (প্রথম ইনিংস) বড় লিড পাওয়া উচিত ছিল। আরও ১০০ রান বেশি হলে বেশ ভালো হতো। সেটা করতে না পারায় এরপর আমরা ম্যাচের ধরন বেশ পাল্টে যেতে দেখলাম। খেলাটা সত্যিই পাল্টে গিয়েছিল।’
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিতের ক্যাচ ফেলেছিলেন স্লিপে থাকা বার্নস। জীবন পেয়ে বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করার সঙ্গে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। শেষ দিনে নিজেদের দশ উইকেট খোয়ালেও মূলত রোহিতের ক্যাচ ফেলায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় বলে জানান রুট।
এ প্রসঙ্গে রুট বলেন, ‘আজকের দিনে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলা হতাশার ছিল। আমরা আগেই ম্যাচে কর্তৃত্ব দেখাতে না পারিনি। সেখানেই ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় বলার আছে সেটি হলো আপনি একই সময়ে যখন বিশ্বমানের খেলোয়াড়কে (রোহিতের ক্যাচ ফেলা) সুযোগ বা অর্ধেক সুযোগ দেন। তারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেটি আমরা আমরা এই ম্যাচ জুড়ে দেখেছি।’
এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে হাসিব হামিদ ৬৩ রান করে আউট হওয়ার পরপরই ধস নামে ইংল্যান্ডের। পরে ছয় রান তুলতেই বুমরাহর বোলিং তোপে পড়ে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। যার মধ্যে ওলি পোপ ও জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ হিসেবে সেটিকেও উল্লেখ করেন রুট।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.