পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে ওয়ালটনের চুক্তি

নির্মল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সিএফসি’র (ক্লোরোফ্লোরোকার্বন) ব্যবহার বন্ধের পর বিশ্বের প্রথম এইচএফসি (হাইড্রোফ্লোরোকার্বন) ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ওয়ালটন।

এবার এইচসিএফসি (হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন) ফেজ আউটের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তারা। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি।

উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের জন্য ওয়ালটন দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত। ইকো-ফ্রেন্ডলি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং রেফ্রিজারেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্ব শীতল রাখতে ওয়ালটন সব সময়ই সচেষ্ট। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ওয়ালটনের নেওয়া প্রকল্পগুলোর ফলে ৫৪৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে ওয়ালটন।

এ বিষয়ে রোববার (২৯ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়ালটনের মধ্যে ‘এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (এইচপিএমপি স্টেজ টু) প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার তানভীর রহমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার ফিরোজ আলম, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মহসিন সরদার, নির্বাহী পরিচালক শরীফ হারুনুর রশীদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, ওয়ালটনসহ বাংলাদেশে এসি প্রস্তুতকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.