বরিশালে ইউএনওকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি নালিশি অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগ করা হয়।

পৃথক দুটি অভিযোগে ইউএনও মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই দুটি মামলায় ছয় জন এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা ১০০ জন আসামি। শুনানি শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য অভিযোগ দুটি আদালতে রেখে দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম, এসআই শাহ জালাল মল্লিক ও আনসার সদস্য তার নাম উল্লেখ নেই। এ মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে বিসিসি কর্মীদের ব্যানার অপসারণ করতে বাঁধা দেওয়া হয় এবং তাদের সঙ্গে ইউএনও ও তার আনসার বাহিনীর সদস্যরা দুর্ব্যবহার করেন। খবর পেয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে আনসার সদস্যরা শটগান নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। এ সময় নেতাকর্মীরা মেয়রকে রক্ষা করেন। একই সময় পুলিশের লাঠিচার্জ এবং গুলিবর্ষণে বহু নেতাকর্মী আহত হয়। এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার একটি চোখও নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে গ্রহণ না করায় আদালতের শরণাপন্ন হন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।

অপর মামলার বাদী বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হাওলাদার। এ মামলার আসামিরা হলেন—ইউএনও মুনিবুর রহমান ও এক আনসার সদস্য। এখানেও আনসার সদস্যের নাম নেই। এ মামলায় অজ্ঞাতানামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলের অবৈধ ব্যানার অপসারণ করতে গেলে ইউএনও বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে মেয়র সেখানে উপস্থিত হলে ইউএনও তার আনসার সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেন। পুলিশও সেখানে হাজির হয়ে গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে বহু লোক আহত হয়। এ সময় পুলিশ প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ১০০ মোটরসাইকেল গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.