কান্দাহর ও হেরাতে ভারতীয় দূতাবাসে লুটপাট

আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি ও গনি সরকারের বিদায়ে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন দেশগুলোর একটি ছিল ভারত। তালেবান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার পর দু’দিনের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আফগানিস্তান। আর এবার দেশটিতে অবস্থিত ভারতীয় দুই দূতাবাসে তল্লাশি চালিয়েছে তালেবান।

আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বুধবার কাবুলের পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে তল্লাশি চালায় তালেবান যোদ্ধারা। দূতাবাস দু’টি বন্ধ থাকলেও সেখানে প্রবেশ করে তল্লাশি চালানো হয়। ভেতরে প্রবেশ করে আলমারি খুলে বিভিন্ন গোপন নথিপত্রের খোঁজ করা হয়। এ সময় তালেবানরা লুটপাট করে বলেও দাবি করা হয়।

এদিকে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি ভারতীয় ওই দুই দূতাবাসের বাইরে রাখা গাড়িও দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। এছাড়া রাজধানী কাবুলে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তালেবান। সেখানে মূলত আফগান গোয়েন্দা সংস্থা এনডিএস’র কর্মীদের খোঁজ করেছে তারা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় দূতাবাসে তালেবান যোদ্ধাদের তল্লাশির খবর পাওয়া গেলেও জালালাবাদ ও কাবুল শহরে অবস্থিত দূতাবাসের পরিস্থিতি কি, তা এখনও জানা যায়নি।

আফগানিস্তানে ভারতের চারটি দূতাবাস রয়েছে। কাবুল, কান্দাহার, হেরাত ও মাজার-ই-শরিফে ভারতের দূতাবাসগুলো কাজ করে। তালেবান ক্ষমতা দখল করার আগে মুহূর্তে দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার কাবুল থেকে ১৭০ জনকে উদ্ধার করে ভারত। উদ্ধার করা হয় ভারতের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মী ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে কাজ করা ভারতীয়দের। উদ্ধার করা হয় ভারতীয় সাংবাদিকদেরও। যদিও এখনও আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় আটকে রয়েছেন।

আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডোন জানিয়েছেন, শেষ তিনদিনে ২০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদেরও ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.