করোনা মহামারি চলাকালে এমপ্লয়ি সিলেকশন প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোয় নতুন নিয়োগ আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। ২০১৯ সালে যেখানে নতুন নিয়োগের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সেখানে ২০২০ সালে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) এমপ্লয়ি সিলেকশন ইন ব্যাংকস অব বাংলাদেশ: এ মিক্সড মেথড অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং কনসালটেন্সি) ড. আশরাফ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন; বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং কনসালটেন্সি) ড. আশরাফ আল মামুন; প্রভাষক আনিলা আলী; বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাকিল এজাজ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল বলেন, কর্মী নিয়োগে সিলেকশন প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে সিলেকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না হলে সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করা সম্ভব হয় না। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো একজন চাকরি প্রার্থী প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য না অযোগ্য তা নির্ধারণ করে।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব সুপারিশ এবং মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবতাদুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.