যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশ্বমানের তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মান, মূল্য এবং ডিজাইন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে। এ কারণে রফতানিও বাড়ছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্টিত ‘মেনস অ্যাপারেল গিল্ড ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ শীর্ষক বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রফতানি আয়ের ৮৩.৫ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে। বাংলাদেশ সরকার চলমান কোভিড-১৯ (করোনা) পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক সেক্টরকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এবং এ সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন, এর বেশির ভাগই নারী। নারীর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বিশেষ অবদান রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের ডাটা, প্রয়োজনী তথ্য প্রদান করা হবে। ২০১২ সালে অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে এবং টেকসই উন্নয়ন ঘটেছে। বিশ্বের তৈরি পোশাক খাতের বেশিরভাগ গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা কাজ করছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমান বজায় রেখে নিরাপদ পরিবেশে পোশাক কারখানাগুলো চালাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এনজেলরস বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল অফিসের কনসাল জেনারেল এবং কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সোহেলী সাবরীন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.