তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব আফগান সরকারের

মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করার পরই শাসন ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠে তালেবান। এরপর গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের দশটি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে তারা। সর্বশেষ গজনি প্রদেশের রাজধানীও দখল করে নিয়েছে তালেবান।

এমন পরিস্থিতিতে আশরাফ গনি নিয়ন্ত্রিত কাবুল সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) আফগান সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে তালেবানের কাছে সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সংঘাত এবং তালেবানের অগ্রযাত্রার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব পাঠানো হলো।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, দেশে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় কাতারের মাধ্যমে তালেবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশটির প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই চলছে সংঘাত। সর্বশেষ কাবুল থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে গজনি প্রদেশের রাজধানী গজনি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে গোষ্ঠীটি। এ পর্যন্ত দশটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখলে নিল তালেবান।

কৌশলগত দিক থেকে গজনি শহর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই শহর দখলের পর মনে করা হচ্ছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাবুল দখল করে নিতে পারে তালেবান। আর কাবুল দখল হয়ে গেলে তা আফগান সরকারের জন্য মারাত্মক হুমকি হবে।

জাতিসংঘের এক হিসেবে বলা হচ্ছে, গত মাসে আফগানিস্তানে ১ হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের শহরগুলো থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য হাজার হাজার মানুষ কাবুল শহরে প্রবেশ করেছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.