হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা মহামারির সাথে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে হাসপাতালগুলো আর রোগী সংকুলান করতে পারছে না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পরিস্থিতির উত্তরণে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, তবে আশার কথা করোনা সংক্রমণ কমে আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিডি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

চলতি মাসে দেশে আরও এক কোটি ডোজ করোনার টিকা আসছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং ৫০ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একটা রাজনীতি আছে। আমরা ভাগ্যবান যে শুরুতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং পেয়েছি।

জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা গত দেড় বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও তাদের করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন টেস্টের ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার ডেঙ্গু এসেছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও আমাদের দিতে হচ্ছে। প্রতিটা জিনিসের একটা সীমা রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই ইনফেকশন কমাতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে আরও এক কোটিরও বেশি টিকা আসবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। তবে ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের পাইপলাইনে যে পরিমাণ টিকা আছে, সেটা পাওয়া গেলেই কোনো সমস্যা হবে না। টিকা নেওয়ার লাইনে বেশিরভাগ তরুণ এবং কম বয়সীদের দেখা যায়। কিন্তু যারা অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের তাদের আগে টিকা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ তাদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলবে। জীবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, জীবিকাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও আমি মনে করি জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই জীবনকে রক্ষা করে জীবিকা অর্জন করতে হবে।

করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, সেটা বর্তমানে কিছুটা কমেছে। আমরা সংক্রমণ কমানোর এ হার ধরে রাখতে চাই। একইসঙ্গে আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। এজন্য শুধু সরকার নয় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন মন্ত্রী।

সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি ডা. বিল্লাল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আরসেনাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.