বিএনপিনেতারা জনমানুষের আতঙ্কে রয়েছেন: কাদের

বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা একদিকে জনমানুষের আতঙ্কে আছেন, অপরদিকে হঠকারী রাজনীতির কারণে তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের আস্থা হারিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকাস্থ বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্তঃসারশূন্য ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে সরকার কান দেয় না, কারণ জনগণ এসব কথামালার চাতুর্য বিশ্বাস করে না।

সরকার ভেন্টিলেশনে আছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চোখ থেকে ক্ষমতার রঙিন খোয়াবের চশমা খুলে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি আছে কিনা তা আগে দেখুন। তারা এখন মিডিয়ার কল্যাণেই বেঁচে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি নেতাদের সম্মিলিত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশ থেকে ই-তারে যে সিদ্ধান্ত ভেসে আসে, তা ঢাকায় বসে মিডিয়ার মাধ্যমে দলটির নেতারা সেটারই ফরমায়েশ কার্যকর করছেন মাত্র।

কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে খুনিদের তোষণ, দুর্নীতিবাজ আর সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পোষণ এবং অসহায় জনগণকে শোষণ। তাদের রাজনীতি ইতিহাস বিকৃতি, মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচার অর্থহীন অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্কট সমাধানের সক্ষমতা দেখে বিএনপি ঈর্ষার আগুনে জ্বলছে। অন্তর্দহন কমাতে তারা এসব অপপ্রচার চালায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিএনপি নেতাকর্মীরা যে গণ-হতাশায় ভুগছেন, তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে ভ্যাকসিন নিয়ে ঢালাও সমালোচনা করছেন।

জনগণের উদ্দেশ্য ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও সঙ্কট নেই। গুজবে কান না দিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষের প্রবল আগ্রহের পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতেও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্যবিধির প্রতি চরম উপেক্ষা আত্মঘাতী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার সংক্রমণ এখনও উচ্চমাত্রায় রয়েছে। তাই নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের সুরক্ষায় সরকার আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.