ঢাকার পথে সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ টিকা

কোভ্যাক্সের আওতায় চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ টিকা বাংলাদেশে আসছে। বেইজিং থেকে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে টিকা নিয়ে একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।

বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ১৭ লাখ টিকা নিয়ে একটি ফ্লাইট বেইজিং থেকে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়েছে। আজ দুপুরের মধ্যেই এই টিকা ঢাকায় পৌঁছাবে।

এছাড়া চীন এবং বাংলাদেশ শিগগিরই টিকার যৌথ উৎপাদনে যাবে বলেও তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন।

চীন থেকে প্রথম দফায় ৩ জুলাই বাণিজ্যিকভাবে কেনা ২০ লাখ টিকা আসে। আর দ্বিতীয় দফায় ১৭ জুলাই আরও ২০ লাখ টিকা এসেছে। ৩০ জুলাই আরও ৩০ লাখ টিকা এসেছে।

এছাড়া বাংলাদেশকে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে চীন। প্রথম দফায় গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয় চীন। তবে, এই প্রথমবারের মতো কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা আসছে চীন থেকে।

এর আগে গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চীন থেকে সিনোফার্মের সাড়ে সাত কোটি ডোজ টিকা আসবে। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করব।

একই দিন (শনিবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছয় কোটি ডোজ টিকার মধ্যে দুই কোটি ডোজ করে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে চার কোটি ডোজ আসবে। এর আগেও আসবে, তবে কিছুটা কম করে। আগস্টে কিছুটা কম টিকা আসবে।
কোভ্যাক্সের আওতায় এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মডার্নার এবং জাপান অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠিয়েছে। আর কোভ্যাক্স সরাসরি পাঠিয়েছে ফাইজারের টিকা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ জন মানুষ করোনার টিকার আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৩০ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.