মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় সাতজন এবং সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে চারজন মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোরবার (০৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (০৯ আগস্ট) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে তারা মারা যান।
আজ সোমবার (০৯ আগস্ট) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের দুজন, নওগাঁর একজন এবং পাবনার একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর দুজন, নওগাঁর একজন এবং পাবনার একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন পুরুষ এবং চারজন নারী প্রাণ হারিয়েছেন করোনা ইউনিটে। যাদের পাঁচজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১০ বছরের নিচে এক শিশু মারা গেছে।
রামেক পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুজন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ১৪, ১৭ এবং ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৭৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৮ জন, নাটোরের ৬১ জন, নওগাঁর ৩৫ জন, পাবনার ৬৭ জন, কুষ্টিয়ার ১০ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন, সিরাজগঞ্জের তিনজন, মেহেরপুরের চারজন এবং বগুড়ার দুজনসহ মোট ৩৯৯ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১৯ জন।
এদের মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ২১১ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১১৪ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৪ জন।
এর আগে রোববার (০৮ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭৩ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৬৮ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬১ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৭ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৩৯ জন। এর মধ্যে করোনায় ৫২ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৬৯ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.