কিমের মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ মাথায় ছোট্ট ব্যান্ডেজ ও কালো একটি চিহ্ন নিয়ে জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ জানিয়েছে, গত ২৪ থেকে ২৭ জুলাই একটি সামরিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় উনের মাথার পেছনে ব্যান্ডেজ দেখা যায়। এর আগে ২৯ জুন দলের পলিটব্যুরোর বৈঠকে এবং ১১ জুলাই সঙ্গীত শিল্পীদের একটি অনুষ্ঠানে উনের মাথায় কোনো ব্যান্ডেজ বা চিহ্ন দেখা যায়নি। জুলাইয়ের শেষ দিকে আরেকটি অনুষ্ঠানে উনের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায়নি, তবে কালো একটি দাগ ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উনের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক কিছু দেখা যায়নি।

গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কিম জং উনের ওজন ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ওজন প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ পাউন্ড বেড়েছে।

সম্প্রতি উনের ওজন বেশ কমেছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখছে এমন কয়েকটি সংস্থার ধারণা, উন হয়তো ওজন কমানোর চিকিৎসা নিয়ে থাকবেন কিংবা তিনি হয়তো সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমিয়েছেন।

কিমের স্বাস্থ্য জল্পনার একটি সাধারণ বিষয়। ২০১৪ সালে তিনি প্রায় ৬ সপ্তাহ দৃশ্যের বাইরে চলে যান। এরপর তাকে লাঠি হাতে হাঁটতে দেখা যায়। এর কয়েকদিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেন, গোড়ালি থেকে ফোঁড়া অপসারণে কিমের সার্জারি করা হয়েছে।

গত বছরের মার্চে উত্তর কোরিয়ার বসন্তকালীন সময়ে গুজব রটে যে, হার্ট সার্জারি করে কিম জং উন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিছু রিপোর্টে তার মৃত্যুরও খবর প্রকাশ করা হয়। তবে কিম ফের সামনে আসার পর গ্রহণযোগ্য একটি সূত্র জানায়, করোনা মহামারিতে কিম নিজেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন করে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন।

কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ২০১১ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (হার্ট অ্যাটাক) মারা যান। এরপর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় বসেন কিম জং উন। ওই সময় ভারি গঠনের কিম জং উন বিশ্বে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.