মেসির ফ্লাইটের আগে এয়ারপোর্টে বোমাতঙ্ক

জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছেন। এই জয়ের পর পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য স্পেনে যাচ্ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু বোমাতঙ্কে তার সে যাত্রা পিছিয়ে গেছে। আর্জেন্টিনার রোজারিয়ো বিমানবন্দরের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ‘টিসি স্পোর্টস’সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এই খবর ছাপিয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে।

দেশটির ফিশারটন বিমানবন্দর থেকে প্লেনে উড়ার কথা তার। কিন্তু হঠাৎ করে সেখানে বোমা আতঙ্ক রয়েছে এমন খবর আসার পর মেসির ছুটিতে যাওয়া বাতিল করা হয়েছে।

ব্রাজিলকে হারিয়ে রোববার ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মেসি। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোল ও অ্যাসিস্ট দাতাও ছিলেন তিনি।

কোপা শেষ করে সতীর্থদের সঙ্গে দেশে ফেরেন মেসি। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি না হলেও ক্লাবটিতে থাকছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ব্যাপারটি মোটামুটি নিশ্চিত। নতুন মৌসুম শুরুর আগে ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বোমা আতঙ্কে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক দেশ ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।

জানা গেছে, মেসি বিমান ধরার কয়েক ঘণ্টা আগে এক ব্যক্তি দাবি করেন, বিমানবন্দরে রাখা একটি স্যুটকেসে বোমা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর খালি করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় একাধিক ফ্লাইট।

এক ঘণ্টার মধ্যে যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে ঝুঁকি এড়াতে ছুটি আপাতত বাতিল করেছেন মেসি। যদিও বিমানবন্দরে আদৌ বোমা ছিল নাকি কেবলই গুজব, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

এ নিয়ে রোজারিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে বোমাতঙ্কের কারণে জরুরি অবস্থা চালু করা হয় বিমানবন্দরে। এরপর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানবন্দর খালি করে দেওয়া হয়।

মেসির স্পেন যাবার আরও একটি কারণ রয়েছে। গত ৩১ জুন বার্সেলোনার সঙ্গে শেষ হয় চুক্তির মেয়াদ। এখন তিনি বার্সার হয়ে আবারও চুক্তিসই করবেন কিনা এ নিয়ে বোঝাপড়া করতেও ক্লাবে যাবেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.