ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করেছে সংস্থাটি। দলের অপর সদস্য হলেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম।

গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক চিঠির প্রেক্ষিতে দুদক তার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুদকসহ ৪টি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছিল। বাকী ৩টি সংস্থা হচ্ছে-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে ইভ্যালির কার্যক্রমে প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মার্চেন্টের (পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান) কাছ থেকে বাকীতে পণ্য নিয়ে সেগুলোর দাম শোধ করেনি। অন্যদিকে লাখ লাখ ক্রেতার কাছ থেকে পণ্যের আগাম মূল্য নিলেও তাদেরকে পণ্য দেয়নি।

প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছরের ১৪ মার্চ ইভ্যালির মোট সম্পদ পাওয়া যায় ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় দেখা যায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা।

ওই তারিখে প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকের নিকট দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা। অর্থাৎ পণ্যের মূল্যবাবদ এই পরিমাণ টাকা আগাম জমা নেওয়া হলেও পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। অন্যদিকে এ সময়ে মার্চেন্টদের নিকট দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। অর্থাৎ পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নেওয়া পণ্যের মূল্য বকেয়া আছে এই পরিমাণ।সব মিলিয়ে কোম্পানিটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.