টিকটক হৃদয়ের সহযোগী হিরোসহ পাঁচজন রিমান্ডে

অস্ত্র আইনে করা মামলায় টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও রাজধানীর মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম আসামি অনিকের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে অ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), মো. সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরোকে (২২) হাতিরঝিল থানার ডাকাতির প্রস্তুতির মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে রোববার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে টিকটক হৃদয় বাবুর সহযোগী হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর হাতিরঝিল থানায় অনিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়। এছাড়া অপর চারজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়।

সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩-এর একটি দল।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক মগবাজার হাতিরঝিল ও তৎসংলগ্ন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা। সহযোগীদের কারও কোনো পেশা নেই। তারা হিরো অনিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত। শহিদুল ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা এবং হিরো অনিকের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও চুরির ৯টি মামলা রয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হিরো অনিক একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে এবং ছাড়াও পেয়েছে। লকডাউন পুঁজি করে মানুষ চলাচল কম হওয়ার কারণে হাতিরঝিল এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল সে। এছাড়া লকডাউনে যারা ঘুরতে যেত হাতিরঝিলে, তাদেরও টার্গেট করত। সে লকডাউন চলাকালে বাসায় বাসায় মাদক সাপ্লাই করত বলেও স্বীকার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংঘবদ্ধ এই দল মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন বাজার পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক সিন্ডিকেট এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিল। বিভিন্ন সময় সে ও তার দল হাতিরঝিলে আগত দর্শনার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করত।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সে টিকটক হৃদয়কে টিকটক গ্রুপের নেশা ও আড্ডার জন্য মাদক সরবরাহ করত। সে মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার সঙ্গে গ্রেফতার অন্য চার আসামিও তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তাদের কাছ থেকে মাদক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.