দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেওয়ের কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এই সময়ে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে অর্থনীতির কয়েকটি সূচকের ইতিবাচক অবস্থা, যার একটি হচ্ছে রপ্তানি আয়। সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অবশ্য তারপরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা এতেই সন্তুষ্ট। কারণ মাঝখানে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতিয় ঢেও বয়ে গেছে। এর মধ্যে এতটুকু প্রবৃদ্ধি আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের (৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটি আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে যা ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। আগের বছর ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের (৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
এবারও রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি (৮১%) এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এছাড়া পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। বিশেষ করে পাট ও পাটপণ্য ও হোম টেক্সটাইলসহ কয়েকটি পণ্যের রপ্তানি আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
পোশাকের মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৯৬ কোটি ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এই খাতেও প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আলোচিত অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৯ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সর্বশেষ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই সময়ে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে।
গেল অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ০৬ শতাংশ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.