সরকারি ৪ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সরকারি চারটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পৌর বিধিমোতাবেক ফি জমা দিয়ে পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে বসুরহাট পৌর এলাকায় কাজ শুরু করায় এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নোয়াখালী এলজিইডি ও জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, পৌরসভার ফি জমা দিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি দাবি করে বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা চলমান সাত কোটি টাকা ব্যয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সসহ মাকসুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, সরকারি মুজিব কলেজের দুটি ভবন ও সরকারি এইচসি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ভবনের কাজ বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল জানান, সরকারি ভবন করতে হলে পৌরসভাকে ফি দিয়ে কোনো অনুমতি বা অনুমোদন নিতে হয় না জানতাম। তার পরও পৌরসভার ফির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখব। কারণ এসব প্রকল্পের বাজেটে পৌর ফি ধরা ছিল না।

নোয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপংকর খিসা জানান, জুনের মাঝামাঝি মেয়র কাজ বন্ধ করলে আমরা পৌরসভার ফি জমা দিয়ে কাজ শুরু করি। আবার বন্ধ করছেন কিনা তা তার জানা নেই।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী এলজিইডি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও মাকসুদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর সরকারি মুজিব কলেজের দুটি ভবন ও এইচসি সরকারি বিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এ ব্যাপারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, পৌরসভার ম্যানুয়াল ও স্থানীয় সরকার বিধি অনুযায়ী পৌরসভার ফি জমা দিয়ে অনুমতি না নিয়ে কাজ করায় পৌর আইন অনুয়ায়ী অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, পৌর ট্যাক্সের টাকা তো জনগণের জন্যই খরচ করা হয়। এ টাকা তো মেয়রের নয়। তারা পৌরবিধি অনুযায়ী ফি জমা দিয়ে অনুমতি নিয়ে যে কোনো সময় কাজ করতে পারে। এখানে ভুল বোঝার কোনো অবকাশ নেই।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.