যত্নে থাক শখের হাতব্যাগ

মেয়েদের খুব প্রিয় একটি অনুসঙ্গ হাতব্যাগ বা ভ্যানিটি ব্যাগ। শখের প্রিয় ব্যাগটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে এর সঠিক যত্ন দরকার। আসুন জেনে নিই ভ্যানিটি ব্যাগের যত্ন সম্পর্কে।

হাতব্যাগ পরিষ্কার রাখার প্রথম শর্ত, তিন থেকে চারদিন পর পর সব চেইন খুলে, ব্যাগ উল্টে ঝেড়ে নিন। এতে ভেতরের সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ব্যাগের ভেতরের লাইনিংটি বাইরে দিকে বের করে তার উপর দিয়ে চালিয়ে নিন লিন্ট রোলার। যে ব্যাগের লাইনিং বের করা যায় না, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভেতরেই ছোট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
লেদারের হাতব্যাগ
চামড়ার ব্যাগের ক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া বা ব্লিচ-বেস্‌ড ক্লিনার ব্যবহার করা একেবারেই যাবে না। লেদার ব্যাগ পরিষ্কার করার জন্য অল্প গরম পানিতে লিকুইড সাবান গুলে নিন। একটি নরম কাপড় তাতে ভিজিয়ে, ভালো করে পানি চিপে মুছে নিন ব্যাগের বাইরের দিকটা। এরপর অন্য একটি পরিষ্কার, অল্প ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন ব্যাগ। ব্যাগে খাবারের দাগ লেগে গেলে লেবুর রস আর টার্টার ক্রিমের পেস্ট তৈরি করে সেটি আলতো করে লাগিয়ে নিন দাগের উপর। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কলমের কালির দাগের জন্য তুলা রাবিং অ্যালকোহলে ভিজিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুছে নিলেই উঠে যাবে কালির দাগ।
কাপড়ের হাতব্যাগ
কাপড়ের ব্যাগ পরিষ্কার করা সবচেয়ে সহজ। অন্য জামা-কাপড়ের মতো করে সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে নিন কাপড়ের ব্যাগ। তবে জামা-কাপড়ের মতো ভুল করেও নিংড়াবেন না ব্যাগ। ভালো করে পানি ঝড়িয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
পাটের হাতব্যাগ

পাটের ব্যাগের সবচেয়ে বড় সমস্যা, পাটের বুননের সবগুলো খাঁজের মধ্যে ধুলো ঢোকে খুব তাড়াতাড়ি নোংরা হয়ে যায় এগুলো। তাই নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এ ধরনের ব্যাগে দাগ লেগে গেলে অল্প গরম পানিতে ডিশ ওয়াশার ডিটারজেন্ট মিশিয়ে, সেই মিশ্রণ একটা পুরনো টুথব্রাশে লাগিয়ে পরিষ্কার করুন।

নিত্য দিনের ব্যাগের যত্ন
* অফিসে যে ব্যাগ প্রতিদিন নিয়ে যাওয়া হয়, সেটির মধ্যে একাধিক চেম্বার থাকলে ভালো। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একসঙ্গে ও টুকিটাকি জিনিসগুলো আলাদা চেম্বারে রাখতে পারেন। এতে সহজেই খুঁজে পাবেন। মুঠোফোন বা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস গুছিয়ে রাখার জন্য চাইলে আলাদা ছোট ব্যাগও থাকতে পারে। এতে একদিকে যেমন বড় ব্যাগটার মধ্যে এগুলো খুঁজতে সময় কম লাগবে, তেমনি ব্যাগের বিভিন্ন চেম্বারে খুঁজতে গিয়ে তাড়াহুড়ায় ব্যাগের চেইন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
* ব্যাগে অতিরিক্ত ভারী জিনিস রাখলে হাতল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যাগ টইটম্বুর করে চেইন আটকানোর কসরত করার চেয়ে বাড়তি একটি ব্যাগ ব্যবহার করা ভালো। নইলে দ্রুতই ব্যাগের চেইন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
* নরম ব্যাগে ভারী জিনিস রাখলে পুরো ব্যাগই ছিঁড়ে যেতে পারে। আজকাল বাহারি চটের ব্যাগ পাওয়া যায়। ভারী জিনিস বহন করতে চাইলে এসব ব্যবহার করতে পারেন।
* বর্ষার মৌসুমে চামড়া বা কাপড়ে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার না করাই ভালো। বরং এ সময়টাতে কৃত্রিম উপাদানে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। এগুলো বেশ মসৃণ ও পিচ্ছিল হয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি লাগলেও এ ধরনের ব্যাগ সহজে নষ্ট হয় না।
* প্রতিদিন যে ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো সাদা বা হালকা রঙের হলে সহজেই কলমের কালি বা অন্য কোনো দাগ লেগে যেতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে একটু গাঢ় রঙের ব্যাগ বেছে নেওয়া ভালো।

অর্থসূচক/এসএ/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.