সামুদ্রিক মাছ আহরণে বিনিয়োগে জার্মান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান

জার্মান বিনিয়োগকারীদেরকে সামুদ্রিক মাছ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ ও জার্মানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এনডিসি।

তারা বলেছেন, বাংলাদেশ মৎস সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এই দেশের নদ-নদী, পুকুল, খাল-বিল মাছে পূর্ণ। বঙ্গোপসাগরেও পর্যাপ্ত মাছ রয়েছে। কিন্তু  মাছ ধরার আধুনিক জাহাজ ও প্রযুক্তির অভাবে গভীর সমুদ্রের আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। জার্মান বিনিয়োগকারীরা এই খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। তাতে বাংলাদেশও উপকৃত হবে। এ দেশের হিমায়িত পণ্য রপ্তানি বাড়বে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান হবে।

আজ সোমবার (৭ জুন) জার্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে তারা এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশঃ মৎস্যজাতীয় পণ্য রপ্তানির সুযোগ’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের পরিচালক এলিনা গুমপার্ট।

ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হারুন উর রশিদ, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এনাম চৌধুরীসহ অন্যরা।

জার্মান ফেডারেল সরকারের খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা মরিৎস কাইফুসেন ওয়েবিনারে অংশ নেন। এছাড়াও জার্মান আমদানিকারক, বাংলাদেশী রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ৭০ প্রতিনিধি ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।

ওয়েবিনারে রাষ্ট্রদূত সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এনডিসি বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু বলতেন, মৎস সম্পদ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি খাত। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আগালে এই খাতের রপ্তানি আয় অনেক বাড়ানোর সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পর্যাপ্ত মাছ আছে। এখন দরকার রপ্তানির জন্য গুণগত মান নিশ্চিত করা, মানসনদ সংগ্রহ এবং ইউরোপীয় দেশের উপযোগী স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা।

ওয়েবিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, পুষ্টি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিবেচনায় মৎস্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান অনেক বাড়ানোর সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে টুনাসহ অনেক মাছ আহরণের সুযোগ থাকলেও উপযুক্ত জাহাজ ও প্রযুক্তির অভাবে এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। জার্মান বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে এগিয়ে আসতে পারেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প স্থাপন করে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপসহ নানা দেশে তা রপ্তানির সুযোগ নিয়ে লাভবান হতে পারেন।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এনাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের হিমায়িত মাছের স্বাদ অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মাছের চেয়ে বেশি। গুণগত মানও ভাল। মানসনদ সার্টিফিকেটসহ কিছু বিষয়ের ঘাটতি আছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.