তৈরি পোশাকখাতে রফতানি প্রণোদনা একই থাকছে

করোনার কারণে তৈরি হওয়া বিরূপ পরিস্থিতিতে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রণোদনার ঋণের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। এ খাতে রফতানি প্রণোদনা ১ শতাংশ অব্যাহত থাকছে। বিগত অর্থবছরেরও এ খাতে এই ১ শতাংশ প্রণোদনা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্স্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে বিদ্যমান বিভিন্ন রফতানি প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়, ফলে উক্ত খাত করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির প্রভাব সফলভাবে মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এ ধারা অব্যাহত রাখার ফলে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ায় এবং বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ রফতানি অর্জন করে। এ কারণে আগামী অর্থ বছরেও এই অতিরিক্ত রফতানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

স্বল্প সুদের প্রণোদনার ঋণ না পাওয়ায় মে মাসের বেতন এবং ঈদের বোনাস পরিশোধে বেকায়দায় পড়েছেন ছোট ও মাঝারি আকারের কারখানার মালিকরা। ব্যাংক থেকে ‘টাইম লোন’ হিসেবে তিন মাসের জন্য জরুরি ঋণ নিয়ে মজুরি ও বোনাস পরিশোধের চেষ্টা করছেন তারা।

শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৩০০ কারখানা মজুরি পরিশোধে সমস্যায় আছে।

বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, রফতানি যাই হোক, উদ্যোক্তাদের হাতে টাকা আসছে কম। অথচ বেতন ও বোনাস পরিশোধের মূল চাপ এখন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.