রিয়েলমি ৮ প্রো ‘ইল্যুমিনেটিং ইয়েলো’: ব্ল্যাক জ্যাং ও স্যামজোনের তারুণ্যের চেতনায় উদ্ভাসিত

তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমির ফ্ল্যাগশিপ ‘৮ সিরিজ’ ইতোমধ্যেই বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ সিরিজের রিয়েলমি ৮ প্রো-তে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা কোয়াড ক্যামেরা, ৫০ ওয়াটের সুপারডার্ট চার্জার এবং ইনফিনিট বোল্ড ডিজাইনসহ অসাধারণ সব ফিচার; যার চাহিদাই ব্যবহারকারীদের মাঝে এখন বেশি। এরই ধারাবাহিকতায়, রিয়েলমি বাজারে নিয়ে এসেছে ৮ প্রো’র লিমিটেড প্রিমিয়াম এডিশন ইল্যুমিনেটিং ইয়েলো। এই লিমিটেড এডিশনটি তরুণদের অপ্রতিরোধ্য চেতনাকেই প্রকাশ করে।

এই স্মার্টফোনের বিশেষত্ব হলো এর ব্যাকশেলে ফ্লুরোসেন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই কিছুক্ষণ আলোতে রাখার পর এটির ব্যাকশেল অন্ধকারেও জ্বলে ওঠে। গভীরভাবে উপলব্ধি করলে বোঝা যায় এই বিশেষ ডিজাইনটি জীবনের কঠিন সময়ে হাল না ছেড়ে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হওয়াকে প্রতিফলিত করে। আর এই ধারণা থেকেই রিয়েলমি দ্বারা আয়োজিত রাফসান সাবাবের সাথে এক আলোচনায় অংশ নেন বর্তমান সময়ের তরুণদের আইকন হিপহপ শিল্পী ব্ল্যাক জ্যাং (বিজি নামেও পরিচিত) এবং ইউটিউব টেক রিভিউয়ার স্যামজোন।

আলোচনা শুরু হয় হিপহপ তারকা ব্ল্যাক জ্যাং’কে দিয়ে, যেখানে ব্ল্যাক জ্যাং তার ক্যারিয়ারের উত্থানের কথা তুলে ধরেন। ব্ল্যাক জ্যাং’র হিপ হপের প্রতি আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকেই। তখনকার সময় শেখানোর মতো কেউ বাংলাদেশে স্বশরীরে না থাকলেও, কিছুদিন পর ব্ল্যাক জ্যাং নিজের মতো হিপহপ মিউজিক শিখতে শুরু করেন। নিজেদের পরিচিতদের নিয়ে গড়ে তোলেন হিপ হপ কমিউনিটি; যারা নিজেদের চেষ্টায়, পরিশ্রমের মাধ্যমে কেউ হয়ে উঠেছেন মিউজিশিয়ান, কেউ গীতিকার, কেউ কম্পোজার, কেউ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউবা গ্রাফিক্স ডিজাইনার। এরপরে সময়ের সাথে বাংলাদেশের হিপহপ মিউজিককে অন্যমাত্রায় নিজে গেছেন ব্ল্যাক জ্যাং। আর তার অনবদ্য উপস্থাপনা একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে নেটফ্লিক্সে যায়। ব্ল্যাক জ্যাং বহু মানুষকে হিপ হপ গান শুনতে, শিখতে এবং মিউজিক জগতের এমন বৈশ্বিক ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করেছেন। তার স্টাইল এবং চলাফেরার ভঙ্গি বহু তরুণকে হিপহপ সংস্কৃতির সাথে বেড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করে। হিপহপ পছন্দ করেন এমন তরুণদের মাঝে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহু মানুষ তাকে ফেসবুকে অনুসরণ করেন।

ঠিক একইভাবে স্যামজোনও জানান যে কীভাবে তিনি দৈনন্দিন গতানুগতিকতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে তার নিজের পছন্দের পথে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি টেক বিষয়ক গ্যাজেট নিয়ে পড়াশুনা করে, সামাজিক মাধ্যমে রিভিউ করে ধীরে ধীরে বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে ইউটিউবে তার দশ লাখের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি খুব বিনয়ের সাথে জানান যে, তাকে এখন কোনো গতানুগতিক চাকরির জন্য দৌড়াতে হয় না, বরং তিনি নিজেই অন্যদের চাকরির অফার দিতে পারেন। কিন্তু তার এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। তবে কঠিন হলেও, তিনি তার জীবনের স্বপ্নকে, ভালো লাগার জায়গাকে খুঁজে বের করতে পেরেছেন। যারা গতানুগতিক জীবনের বাইরে আলাদাভাবে নিজেদের জীবনকে, তাদের স্বপ্ন অনুযায়ী গড়তে চান; তাদের জন্য স্যামজোন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেন। ইউটিউবিং করা বাংলাদেশে খুবই নতুন একটি ধারণা। কিন্তু স্যামজোন গতানুগতিক সব ধারাকে ভেঙে টেকটিউবিং – কে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

রিয়েলমি ৮ প্রো-এর ইল্যুমিনেটিং ইয়েলো, ব্ল্যাক জ্যাং এবং স্যামজোন এর মত গতানুগতিক ধারাকে ভেঙে নিজের স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হওয়াকেই তুলে করে। মাত্র ২৭ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের এই স্মার্টফোনটি এর ১০৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা কোয়াড ক্যামেরা, তরুণ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ও অসাধারণ ছবি তুলতে এবং ভিডিও তৈরিতে সাহায্য করবে।

ব্ল্যাক জ্যাং যেমন শুধু সমস্যার কথা না বলে সমাধানের কথাও হিপ হপের মাধ্যমে তুলে ধরেন কিংবা স্যামজোন যেমন গতানুগতি ধারার ক্যারিয়ার গড়ার ধারণাকে ভেঙে নিজের স্বপ্নের পথে পা বাড়িয়ে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে অনুপ্রাণিত করেন। ঠিক তেমনি রিয়েলমি ৮ প্রো এর বিশেষ সংস্করণ ‘ইল্যুমিনেটিং ইয়েলো’ও তরুণদেরকে নিজেদের মেধা ও মননে বিশ্বাস রেখে নিজের স্বপ্নজয়ের দুঃসাহসী রাস্তা অতিক্রম করতে উৎসাহিত করে।

দুর্দান্ত এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিকঃ https://cutt.ly/realme_8Pro_IY লিঙ্কে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.