সরকারি অফিস থেকে ‘তথ্য চুরির’ অভিযোগে শাহাবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পুরান ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়।
রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম সে সময় জানান, তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন।
রোজিনার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল টুইট বার্তায় রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রোজিনার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন সাংবাদিককে পেশাগত কাজের সময় এভাবে আটক করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.