বাড়ি যাওয়া ঠেকাতেই পেছাল ঈদের ছুটি!

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে শুরু হচ্ছে। তবে গত ৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১২ মে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে আভাস দেওয়া হয়। তাছাড়া এবার ২৯ রোজা হলে ১৩ মে ঈদ হতে পারে। এক্ষেত্রে ঈদের আগে আর ছুটি মিলবে না। ফলে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে পারবেন না অধিকাংশ চাকরিজীবী।

প্রতি বছর ২৯ রোজা শেষে ঈদ হতে পারে এমনটি ধরে নিয়েই ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। ঈদের আগে একদিন ও পরে একদিনসহ কমপক্ষে তিনদিন ছুটি দেওয়া হয় ঈদের। এই প্রথা অনুসারে, আগামীকাল বুধবার (১২ মে) থেকেই ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিপর্যয় এড়াতে ঈদের ছুটিতে বাড়িমুখী মানুষের ঢল ঠেকাতে এবার সরকার এত বছরের রীতির বাইরে গিয়ে কৌশলে ছুটি একদিন পিছিয়েছে। তাই ঈদের ছুটি বুধবার থেকে শুরু না হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে।

যদি এবার ঈদ-উল-ফিতর ২৯ রোজা শেষে না হয়ে ৩০ রোজা শেষে হয় তাহলে সবাই ৩ দিন ঈদের ছুটি পাবেন। কিন্তু যদি ২৯ রোজা শেষেই ঈদ হয়ে যায় তাহলে ছুটি পাওয়া যাবে ২ দিন, যেটি কখনোই হয়নি। ফলে অসংখ্য চাকরিজীবী মানুষ একদিন ছুটি থেকে বঞ্চিত হবে। তাছাড়া আগামীকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় যদি বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা দেয় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ঈদ হয় তাহলে রাতের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যেতে পারবেন না। মূলত এই আশাতেই প্রচলিত রীতি ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঈদের ছুটি এদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে সরকারও চাইছে মানুষ এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি না গিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করুক। খোদ প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নীতিনির্ধরকরা এ ব্যাপারে ক্রমাগত জনগণকে আহ্বানও জানিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জনপ্রশাষন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও কৌশলে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি একটি গণমাধ্যমে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চাকরিজীবীসহ সবাইকে ঢাকায় রাখতে এবার ঈদের ছুটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তাই আগামীকাল ২৯ রমজান অর্থাৎ বুধবার (১২ মে) অফিস খোলা থাকবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.