আল-আকসায় ঢুকে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি ইসরায়েলি সৈন্যদের

রমজানের ২৮তম দিনে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ভেতরে ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বর্বোরোচিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

সোমবার (১০ মে) সকালে একদল ইসরায়েলি সেনা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল-আকসায় ঢুকে পড়ে। এসময় ফিলিস্তিনিরা তাদের বাধা দিলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে দখলদার বাহিনী।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা জানান, সহিংসতার জায়গায় চিকিৎসাকর্মীদের পৌঁছতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। কমপক্ষে ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি অভিযানে ছয়জন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদের ভেতরে টিয়ার গ্যাস দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া মসজিদে ভেতরেই ফিলিস্তিনি নারীদের ওপর স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে তারা।

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, রোববার (০৯ মে) লাইলাতুল কদরে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের কাছে কয়েক হাজার মুসল্লি যখন নামাজ আদায় করেন, তখন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি পুলিশ। এই সময় সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন।

১৯৬৭ সালে জেরুজালেমের একটি অংশ দখল করে ইসরায়েলিরা। এ দিবসটির স্মরণে প্রতিবছর ১০ মে জেরুজালেমে পতাকা মিছিল বের করে ইহুদিরা।

আজ সোমবার সকালেও এ পতাকা মিছিল বের করে আল-আকসা দখল করতে যায় ইহুদিবাদীরা। এ সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ইহুদিরা।

আদালতের সহযোগিতা নিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকদিন ধরে শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ এবং তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করছে।

সেখানে নতুন একটি ইহুদি বসতি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজ করছে তেলআবিব। গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে জোর করে বের কের দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.