দেশের কোন এলাকায় পাওয়া গেল করোনার ভারতীয় ধরন

দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার (০৮ মে) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইইডিসিআর জানায়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় এ ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে। যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত ৪ রোগীর দেহে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন।

করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সরকার। এই সময় স্থলপথে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের লোক চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সীমান্তের দুপাশে আটকা পড়ে কয়েকশ মানুষ।

বৃহস্পতিবার করোনা মহামারির পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ড. রুবেদ আমিন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও অন্যান্য দেশের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ ঠেকাতে ১৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

রুবেদ আমিন বলেন, দেশে ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্টসহ অন্যান্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে বেনাপোল থেকে আসা ১ হাজার ২৫২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে আসা ৪৭ জনকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আকাশপথে ১৯ মে থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জন এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৫১৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাকিদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন পাওয়া গেছে। গেলো মাসের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.