‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও হেফাজতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলবে’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মধ্যে তারা (হেফাজতে ইসলামের নেতা) দেখা করেন। কিন্তু দেখা-সাক্ষাতের কারণে দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ব্যাহত হবে না। কারণ দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

আজ বুধবার (৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা আমাদেরই উপড়ে ফেলতে হবে। আমরা কারও ওপর ভরসা করবো না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বুকে পাথর বেঁধে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিল। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে যেন আমাদের আলস্যে পেয়ে না বসে।

তিনি বলেন, দৈব-দুর্বিপাকের মধ্যেও মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহীতে বক্তৃতা দেন, ডা. জাফরুল্লাহ ঢাকায় বক্তৃতা দেন। বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, লন্ডন থেকে লেখানো হয়। তাই এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে হবে, কারণ ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, হাসপাতালে আছেন, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। মহান স্রষ্টার কাছে আমি প্রার্থনা করি, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে সহসা ঘরে ফিরে যান। আদালতে তার জামিন না হওয়ার পরও আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করোনা মহামারির শুরুতেই তাকে মুক্তি দিয়েছেন এবং সেটি দুই দফা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু তার এ অসুস্থতার অজুহাতকে সামনে এনে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসা তো আমাদের দেশে যা, ইংল্যান্ডেও তা, সিঙ্গাপুরেও তা, ইউরোপেও তা। সুতরাং এ ধরনের দাবি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবারাত্রি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতি শুধু বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তাদের কথায় মনে হয়, দেশের জনগণের চিকিৎসার কোনো দরকার নেই, খাদ্যের কোনো দরকার নেই। এটি কী ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি, তা আজও আমাদের বোধগম্য হয় না।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, হোসনে আরা, শামীমা শাহরিয়ার, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.