আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের দীর্ঘদিনের যুদ্ধ-সংঘাতের অবসান চান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের একটি কক্ষ থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে সব সেনাকে সরিয়ে নিলেও আফগানিস্তানকে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দেশটিতে আর সামরিক সহায়তা দিতে চান না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জো বাইডেন বলেন, আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি টানার সময় এসেছে। সময় এসেছে সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে আনার।
বাইডেন যে কক্ষ থেকে আফগানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দিলেন সেখান থেকেই ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার কথা প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সব সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাবে আমেরিকা। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে কোনও আপস নেই।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমাদের ওপর হামলা হয়েছিল। হামলার জবাব দিতে আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, হামলার নেপথ্য নায়ক ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে। তালেবান সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবান শক্তিকে দুর্বল করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগান যুদ্ধ কখনোই প্রজন্মের পর প্রজন্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য শুরু করা হয়নি। আমেরিকা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিল, তা অর্জিত হয়েছ।
২০০১ সালে হোয়াইট হাউসের ট্রিটি রুমে দাঁড়িয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগান যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার প্রায় ২০ বছরের মাথায় স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার একই স্থানে দাঁড়িয়ে এই যুদ্ধের অবসানের ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দুই পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামার সঙ্গে কথা বলেন।
২০০১ সালে জর্জ বুশের আফগান যুদ্ধ ঘোষণার সময় বাইডেন সিনেটের প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। তিনি তখন একজন সিনেটর হিসেবে জর্জ বুশের আফগান যুদ্ধের অনুমোদন দেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই মেয়াদকালে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। বারাক ওবামা চেষ্টা করেও আফগানিস্থান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে সফল হতে পারেননি। তখন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে ওবামা ও বাইডেনের মধ্যে মতপার্থক্যের কথা সংবাদমাধ্যমে আসে।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.