পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে এক সপ্তাহ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আর তাই বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের কার্যক্রমও।

বিষয়টি অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ছাড়া পুঁজিবাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই আমরা চাইলেও এ সময়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো না। তবে, ব্যাংক খোলার সাথে সাথে আমরা বাজারের কার্যক্রম শুরু করব।’

এর আগে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেনও বন্ধ থাকবে।’

ব্যাংক বন্ধ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আপাতত সব ব্যাংকের শাখা ও অফিস বন্ধ থাকবে। কেবল খোলা থাকবে, রফতানি কাজের জন্য কাস্টমস সংশ্লিষ্ট ইডি শাখা ও বন্দর শাখাগুলো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশে ব্যাংকগুলোও বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র, স্থল নৌ এবং সমুদ্রবন্দর সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে। আর খোলা রাখা যাবে রফতানির প্রয়োজনে কাস্টমস সংশ্লিষ্ট ইডি শাখাগুলো।

সূত্রমতে, ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তার মধ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এমনিতেই তিন দিন বন্ধ থাকতো ব্যাংক। তার সঙ্গে বাড়তি কয়েক দিনের জন্য ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা আসলো। এর আগে অবশ্য গত সপ্তাহের লকডাউনে (৫-১১ এপ্রিল) সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে আড়াই ঘণ্টার লেনদেন চলছে। কাল মঙ্গলবারও বাজারে আড়াই ঘণ্টা লেনদেন হবে। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধের কারণে পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকবে।

অর্থসূচক/আরএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.