করোনা: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কিছুটা কমেছে

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। তবে টানা কয়েকমাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও ফের হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত কিছুটা কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচ হাজার ৪২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৯ মার্চ) দেশে পাঁচ হাজার ১৮১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪ হাজার ১৯ জনের শরীরে।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৫১৮১, ৩৯০৮, ৩৬৭৪, ৩৭৩৭, ৩৫৮৭, ৩৫৬৭, ৩৫৫৪ ও ২৮০৯ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৫ হাজার ৯৩৭ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৬ হাজার ২৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গতকাল দেশে ২৮ হাজার ৬৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর মোট পরীক্ষার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ পজিটিভ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৫০৪২ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৬৫৯৩৭ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৪৫ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ৮৯৯৪ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ২১৬২ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৫৪০১৮০ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জন মারা গেছেন। এর আগে গতকাল সোমবারও (২৯ মার্চ) করোনায় মারা যান ৪৫ জন।

গত বছরের ৩০ জুন দেশে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২৬ জুলাই ও ২৬ আগস্ট দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৬ জুন করোনায় মারা যান ৫৩ জন।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৪৫, ৩৫, ৩৯, ৩৩, ৩৪, ২৫ ও ১৮ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৯৯৪ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুই হাজার ১৬২ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.