হংকংয়ে চীনের প্রভাব আরও বাড়ল

চীনের পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা এনপিসি-র স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে পাশ হলো হংকংয়ের নির্বাচনী সংস্কারের প্রস্তাব। ১৬৭-০ ভোটে তা গৃহীত হয়েছে। এর ফলে হংকংয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানে গণতন্ত্রপন্থিদের আর কোনো গুরুত্ব থাকবে না।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে হংকং পেয়েছিল চীন। তারপর এত ব্যাপক নির্বাচনী সংস্কার এই প্রথম করা হলো। এই সংস্কারের ফলে হংকংয়ের আইনসভার সদস্যসংখ্যা ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মনোনীত সদস্যের সংখ্যা নির্বাচিত সদস্যের থেকে অনেক বেশি থাকবে। ফলে হংকংয়ের আইনসভায় চীনের বিরোধী কোনো বিষয় অনুমোদিত হবে না।

এছাড়া ইলেকশন কমিটির সদস্য ৩০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ করা হয়েছে। এই ইলেকশন কমিটিই হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ এবং লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনীত করে। কেউ ভোটে দাঁড়াতে চাইলে, তাকে আগে নিজের রাজনৈতিক মতের কথা জানাতে হবে।

এই বিলের বিস্তারিত বিবরণ এখনো জানা যায়নি। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, চীন হংকংয়ের উপর তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। হংকংয়ে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ছিল, এই নির্বাচনী সংস্কারের ফলে তা কার্যত অর্থহীন হয়ে গেল। আইনসভার অধিকাংশ আসনেই সদস্যদের চীন মনোনীত করবে। ফলে বিরোধীরা নির্বাচিত হয়ে এলেও কিছু করতে পারবেন না। এর ফলে হংকংয়ের স্বশাসনের উপরও আঘাত এল। খাতায় কলমে স্বশাসন থাকলেও এবার থেকে শাসন পরিচালনা করবেন চীনের নিযুক্ত প্রতিনিধিরাই। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.