সম্প্রতি করোনা আতঙ্ক ভর করেছে পুঁজিবাজারে। এতে পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ব্যাপক দরপতন চলছে। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেনেও কমেছে বড় ব্যাবধানে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনা করলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইতে ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯৬৮ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার বা ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪৩৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৫৬৮ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১৩৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ডিএসইর সেরা কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ হাজার ১৫৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট থেকে ২ হাজার ৭৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে নেমে আসে।
আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস এক হাজার ২৬৫ পয়েন্ট থেকে কমে হয়েছে এক হাজার ২৪৭ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির বা ১৯ শতাংশ কোম্পানির। আর ৫৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ২১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এ সময়ে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অর্থসূচক/এসএ/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.