চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পথে ইইউ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে চীনসহ ছয়টি দেশের ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ৷ বুধবার ইইউর রাষ্ট্রদূতরা তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাবে সম্মতি দেন৷

১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চীনের পাঁচজন এবং বাকিরা রাশিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সুদান এবং উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা৷ এ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে ইইউর ২৭টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা সম্মতি দিয়েছেন বলে ইইউর দুই কূটনীতিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান৷

এর আগে ইইউ-তে ২৭ সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল সফর করতে চাইলে চীন তাতে সম্মতি দেয়৷ কিন্তু উইগুর অধ্যুষিত ওই অঞ্চলে গিয়ে কারাবন্দি শিক্ষাবিদ ইলহাম তোহতির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনার কথা জানালে সফর বাতিল করা হয়৷ ইইউ-তে চীনের দূত ঝ্যাং মিং বলেন, সফর চূড়ান্ত করার পরও তা বাতিল করা হয়েছে, কারণ, ‘তারা (ইইউ) চীনের আইনে সাজাপ্রাপ্ত এক দুষ্কৃতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছে৷ এমন অনুরোধ অগ্রহণযোগ্য৷’

ইইউ-র মানবাধিকার পুরস্কার এবং শাখারপ পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ তোহতির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলা হয়৷ এ কারণে ২০১৯ সাল থেকে তিনি কারাবন্দি৷

ইইউর দুই কূটনীতিক জানান, ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নামগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷ আগামী সোমবার ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর তালিকাটি প্রকাশ করা হবে৷

ইইউর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন৷ ১৯৮৯ সালে তিয়ানমেন স্কয়ারের অভিযানের পর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইইউ৷ তারপর এই প্রথম বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে ইউরোপীয় জোট৷ সূত্র: রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.