ব্যাংকের লভ্যাংশের সীমা বাড়িয়ে সার্কুলার জারি

ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা ও শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে লভ্যাংশের সীমা বাড়িয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩৫ শতাংশ বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করে দেশের সকল ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর নিকট পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতঃপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোন ধরণের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদসহ মোট ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।”

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই (নন ব্যাংক) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ বৈঠক শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ ১৫ শতাংশ লভ্যাংশের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও লভ্যাংশ ঘোষণা দিতে পারবে।

সোমবারের সিদ্ধান্তের পর আজ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হল।

অর্থসূচক/এনএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.