পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) ১২২ ঋণখেলাপিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ঋণখেলাপিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি অর্থ ঋণখেলাপি এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছিল।

তবে আদালতের সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় মাত্র ৫১ জন হাজির হয়েছিলেন। বিষয়টি  নজরে আসার পর হাইকোর্ট বলেন, ‘আদালতের তলবে যারা আজকে আসেননি, তাদের আরেকবার সুযোগ দেওয়া হবে। এরপরও তারা আদালতে হাজির না হলে প্রয়োজনে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হবে’

প্রসঙ্গত, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেটের সহায়তায় কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে পি কে হালদার দেশ থেকে সটকে পড়েন। এ অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুর পাচার করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট।

সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.