মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডে উলভসের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ১৩৫ বলে ১২৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার এ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ২৬০ রান তোলে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচটা প্রায় বের করে ফেলেছিল আইরিশরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। সেই সমীকরণ গিয়ে দাঁড়ায় শেষ বলে ৭ রানে। তবে একটি বাই রান ছাড়া শেষ বল থেকে আর কিছু পায়নি অতিথিরা। ফলে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৫ রানের জয় নিয়ে সিরিজ শেষ করল। এই নিয়ে সিরিজের ৪ ম্যাচেই জয় পেল টাইগাররা।
আজ রোববার (১৪ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারে হারায় অধিনায়ক সাইফ হাসানকে। মার্ক অ্যাডায়ারের ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হন সাইফ। মাহমুদুল উইকেটে এসে দ্রুতই মানিয়ে নেন। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা আনিসুল কয়েকটি আগ্রাসী শট খেললেও রানের জন্য ছটফট করছিলেন। তার ৩১ বলে ৮ চারে ৪১ রানের ইনিংস শেষ হয় লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানির শিকার হয়ে। অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরের শর্ট বলে বাজে শটে ক্যাচ দেন তৌহিদ হৃদয় (২০)।
শাহাদাত হোসেনও (১৩) উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। দারুণ ফর্মে থাকা শামীম হোসেন দুটি বাউন্ডারির পর বোল্ড হয়ে যান। ইনিংস বড় করার সঙ্গী পাচ্ছিলেন না মাহমুদুল। শেষ পর্যন্ত তাকে সঙ্গ দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৩)। দুজনে মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ১২৪ বলে লিস্ট-এ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল। আগের ম্যাচেও তিনি অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। তার ১৩৫ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ১২৩ রানে ভর করে বাংলাদেশ ২৬০ রান তোলে।
রান তাড়ায় নেমে আইরিশরা দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার জেমস ললোরকে। এরপর স্টিভেন ডোহেনি ও অ্যাডায়ার দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি উপহার দেন। সাইফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডায়ার (৪৫) লং অনে ক্যাচ দিলে এই জুটির অবসান হয়। দারুণ খেলতে থাকা ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮১ রানে শামীমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান। লোয়ার অর্ডাররা লড়াই করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারের লড়াইয়ে জয় হয় বাংলাদেশের।
সিরিজে ৭১.২৫ গড়ে ২৮৫ রান করে ম্যাচ ও সিরিজের সেরা হয়েছেন ২০ বছর বয়সী মাহমুদুল।
অর্থসূচক/কেএসআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.