পুলিশ ছাড়া কোনো দেশ কল্পনা করা যায় না: আইজিপি

সভ্য সমাজে পুলিশ ছাড়া কোনো দেশ কল্পনা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১২ বছরে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সমুন্নত একটি সুসংহত পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে চাই।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে মাস্টার্স ইন অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট (এমএসিপিএম) ডিগ্রির সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, আমরা প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষণ কাঠামোবদ্ধ করা হয়েছে। বেসিক ট্রেনিং পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে প্রত্যেক পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের জন্য প্রতিবছর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের জনগণ আগামী দুই বছরের মধ্যে এর সুফল পাবেন। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ‘লিডিং ফোর্স’ হতে চাই।

পুলিশ স্টাফ কলেজকে (পিএসসি) বাহিনীর ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে অভিহিত করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পিএসসি অনন্য ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক রয়েছে। ভবিষ্যতে এর আওতা আরও বাড়বে।

পুলিশ প্রধান বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে পুলিশেরও উন্নয়ন প্রয়োজন, যা এক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, যাতে আমরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারি।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্গঠন করা হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী পুলিশ চাই।

পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মোহাম্মদ নাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এমডিএস (একাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ) গোলাম রসুল। ডিগ্রি অর্জনকারী গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি ডিগ্রি অর্জনকারী ৫৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছেন।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (এএন্ডও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মীর শহীদুল ইসলাম, এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসেন, টিএন্ডআইএম’র অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফাতেমী, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) এস. এম. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মাজহারুল ইসলাম, এটিইউ’র অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.