ইকুয়াটোরিয়াল গিনির শহর বাটায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। তবে দেশটির প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। আহত অসংখ্য। সকলকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইকুয়াটোরিয়াল গিনির সবচেয়ে বড় শহর বাটা। স্থানীয় সময় রোববার সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণ হতে শুরু করে। সেখানে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি আছে। বিস্ফোরণ সেখানেই হয়।
দেশের প্রেসিডেন্ট টেওডরো ওবিয়াং জাতীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তার দাবি, সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে ডিনামাইট মজুত করা ছিল। অবহেলায় পড়েছিল সেই বিস্ফোরকগুলো। আচমকা তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা শহর। কিন্তু ডিনামাইটের স্তূপে কীভাবে আগুন লাগল। কীভাবে বিস্ফোরণ হলো। কারা এর জন্য দায়ী, এ সব কিছুই জানাননি প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীর তরফেও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
১৯৭৯ সাল থেকে গিনির প্রেসিডেন্ট ওবিয়াং। ৭৮ বছরের ওবিয়াং দেশটির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। নিজের কাকাকে ক্ষমতাচ্যূত করে প্রেসিডেন্টের পদ দখল করেছিলেন তিনি। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০০ জন আহত। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৪২০ জন।
স্থানীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে ধ্বংসের স্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার করছেন। পিক আপ ট্রাকে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলো ভরে গিয়েছে আহতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলকে রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কারণ, আহতদের অনেককেই রক্ত দিতে হচ্ছে।
বিস্ফোরণস্থলে সমস্ত বাড়ি ভেঙে গেছে। দু’একটি দেওয়াল কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। লোহার স্ট্রাকচারও ভেঙে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.