ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না এবং এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র উপায় আমেরিকার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। তিনি পরমাণু সমঝোতাকে একটি বহুজাতিক চুক্তি বলে উল্লেখ করেছেন যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক টেলিফোলাপে এ মন্তব্য করেন হাসান রুহানি। পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সুযোগ হাতছাড়া না করতে পাশ্চাত্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একবার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে পরিস্থিতি আরো জটিল রূপ নেবে। আমেরিকার পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং তিন ইউরোপীয় দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারার পর ইরান পর্যায়ক্রমে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের গতি কমিয়ে দিয়েছে। আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে এলে ইরানও পূর্ণ মাত্রায় এই সমঝোতা বাস্তবায়নে ফিরে যাবে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কাজেই এ সংস্থার নির্বাহী বোর্ডে ইরানবিরোধী প্রস্তাব পাস হলে তা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অপূরণীয় ক্ষতি করবে।
পরমাণু সমঝোতাকে বিশ্ব শান্তির জন্য অতি জরুরি উল্লেখ করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, সকল পক্ষকে এই সমঝোতায় পূর্ণ মাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য তিনি দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু সমঝোতাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আরো বেশি প্রচেষ্টা চালাতে ইউরোপ প্রস্তুত রয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.