দীর্ঘদিন সরকারে থাকায় সব খাতে উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘদিন সরকারে থাকার সুযোগে সব খাতে উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে পড়েনি। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে ৫৫তম ব্যাচের ক্যাডেটদের ‘মুজিববর্ষ গ্রাজুয়েশন প্যারেড’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। আপনার সুরক্ষা অন্যকেও সুরক্ষিত করবে। টিকা দেওয়ার পর এটা কেউ মনে করবেন না যে সমস্যা সব সমাধান হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমি অনুরোধ করব আপনারা সকলেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিয়ম-নীতি মেনে চলবেন। মাস্ক ব্যবহার করা, হাত পরিষ্কার রাখা একান্তভাবে প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে, সব সময় মাস্ক পরতে হবে। নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আমি আশা করি প্রত্যেকেই সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। বাংলাদেশের মানুষ যেন সব ধরনের স্বাস্থ্য সেবা পায়, আমরা সে চেষ্টা করছি।

দেশের সমুদ্র সীমা আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সীমা আইন করলেও পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া তাদের কোনো উদ্যোগই ছিলো না। তারা দেশটিকে চিনতো না, জানতোও না।‌ আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছি। এ সমুদ্র সম্পদ আমরা নিজেদের অর্থনৈতিক কাজেও ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া আমাদের বে অব বেঙ্গল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলে। তাছাড়া নদীগুলোতে আমরা নাব্য ফিরিয়ে এনে দেশের নৌ-পথকে আরও উন্নত, আরও সচল করে দিচ্ছি। যার মাধ্যমে দেশের আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য পরিবহন খুব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করা যাবে। সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই চ্যালেঞ্জিং ক্ষেত্রে কাজ করতে সবোর্চ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে মেরিড ক্যাডেটদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রতিযোগিতাময় বিশ্ব—কাজেই সেই বিশ্বে চলতে হলে আমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রয়োজন। আর সেভাবেই ট্রেনিং নিতে হবে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি। আমরা আশা করব, যারা আজ ট্রেনিং পেয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবেন, তারা যে দেশে যাবেন, সেখানে আমাদের সভ্যতা, আমাদের সংস্কৃতিও আদান-প্রদান করতে পারবেন। নিজ দায়িত্ব, সততা, দক্ষতা ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে, যাতে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.