ইরফার সেলিমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় বিচারক পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা তাদের অনুসরণ করে আরও কিছু দূর গিয়ে গাড়িটি থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

তবে ঘটনার সময় হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িতে ছিলেন। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। পরে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ইরফান সেলিম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ।

গত ২৬ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর র‌্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র‌্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.