২৫ তলা ভবন পাচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো

কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত অন্যান্য ব্যাংক সমূহের ব্যাংকিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ২৩১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকার দৈনিক বাংলায় একটি ভবনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় প্রধান কার্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতেও বিলম্ব হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং সেবা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ‘কর্মসংস্থান ব্যাংক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কর্মসংস্থান ব্যাংক ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাবনা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) ড. আ. এ. মো. মহিউদ্দিন ওসমানী গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে জরাজীর্ণ ভবনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কার্যক্রম চলমান। এসব বিবেচনায় প্রকল্পের আওতায় ২৫ তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো- কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ- সুবিধাসম্পন্ন ৪টি বেইজমেন্টসহ ২৫ তলা ভবন নির্মাণ করা। নানা কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থান ব্যাংক দেশের বেকার যুবকদের ঋণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ অর্থাৎ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুবাদের সম্পৃক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশে গড়ে তোলা প্রবাসী কলাণ ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সমূহের কার্যক্রম ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখিত ৩টি ব্যাংকসহ বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের নিজস্ব ভবন না থাকায় প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকসমূহের প্রধান কার্যালয়ের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য অনুশাসন দিয়েছেন। ঢাকার ১ নং রাজউক অ্যাভিনিউয়ে সরকারি জমিতে সরকারি বিধি অনুযায়ী আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে। ভবনের জন্য প্রস্তাবিত স্থানটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুকূলে ১৯৯৮ সালে ৯৯ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত করা হয়। এসব বিবেচনায় ভবনটির নাম কর্মসংস্থান ব্যাংক ভবন রাখা হয়েছে।

অর্থসূচক/এনএইচ/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.