সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান এবং ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সুচিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। আজও (৭ জানুয়ারি) রাস্তায় নেমেছে অভ্যুত্থান-বিরোধী কয়েক হাজার মানুষ। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির এক শহর থেকে আরেক শহরে।
জানা গেছে, রবিবার মিয়ানমারের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ করেছে প্রায় ২ হজার মানুষ। তারা অবিলম্বে সু চির মুক্তি দাবি করেছেন। এদিন শ্রমিক ইউনিয়ন ও আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীরা ‘সু চি দীর্ঘজীবী হোন’, ‘সামরিক শাসন মানি না’ শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। এ সময় সেনা অভ্যুত্থানকে সামরিক স্বৈরতন্ত্র বলে আখ্যা দিয়ে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত সোমবার মিয়ানমারে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের পরই দেশটিতে গতকাল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। ইয়াঙ্গুন শহরে শত শত মানুষের বিক্ষোভ হয় যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষকরা নেতৃত্ব দেন।
এদিকে সামরিক সরকারের নির্দেশে মিয়ানমারে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে মিয়ানমার সরকার ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেটব্লকস ইন্টারনেট অবজারভেটরির তথ্যমতে, প্রায় পুরো ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। ফেইসবুকের মাধ্যমে আন্দোলন ও বিক্ষোভের আহ্বান ছড়িয়ে পড়ছিল। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.