৩৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটে ২২৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিল মুমিনুল হকের দল। প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয়।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই যেন মুমিনুল হকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তা হয়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেই মুমিনুল ফিরেছেন স্বরুপে। ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। দেশের পক্ষে তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। ছাড়িয়ে গেছেন তামিমের ৯ সেঞ্চুরিকে।

১৮২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ১১৫ রান করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের শিকার হয়েছেন মুমিনুল। তার আগে ১১২ বলে ৫ চারে ৬৯ রান করে জোমেল ওয়ারিকেনের বলে আউট হন লিটন দাস।

এরপর ইনিংসের ৬৮তম ওভারে এসে তাইজুল ইসলাম (৩) আর মেহেদি মিরাজকে (৭) ক্যারিবীয় এই স্পিনার চার বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দিলে আর দেরি না করে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

৩ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। শনিবার প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে মুশফিকের (১৮) উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তোলে মুমিনুল হকের দল। মুশফিক সাজঘরে ফেরার কিছু পরই ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি করতে ৮৪ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ৫টি চারের মার।

দিনের শুরু থেকে গ্যাব্রিয়েলের শরীর বরাবর ধেয়ে আসা বাউন্সার কিংবা কর্নওয়ালের স্পিনের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল। ক্যারিবীয়দের কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে দেয়নি মুমিনুল-লিটন জুটি।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংস থেকে ৪৩০ রান পায় বাংলাদেশ। জবাবে ২৫৯ রানে থামে ক্রেগ ব্রাথওয়েটদের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে পায় ১৭১ রানের বড় লিড।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি মিরাজ। সাকিব আল হাসান ৬৮ ও সাদমান ইসলাম খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। বল হাতে আবার মিরাজ ৫৮ রান খরচায় তুলে নেন ৪ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিকান। দ্বিতীয় ইনিংসে রাকিম কর্নওয়াল তিনটি এবং ওয়ারিকান তিনটি উইকেট নেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.