যে কারণে ইউরোপীয় ৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল রাশিয়া

তিন ইউরোপীয় দেশের কূটনীতিককে বহিষ্কার করার কারণ হিসেবে রাশিয়া জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করেছে, সেদেশের সরকারবিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির সমর্থনে মস্কোয় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে তিন ইউরোপীয় দেশের তিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ওই তিন কূটনীতিককে রাশিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদেরকে অবিলম্বে রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল মস্কো সফরে গিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর রাশিয়া এ কথা জানিয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই কূটনীতিকরা গত ২৩ জানুয়ারি নাভালনির পক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল’।

তবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সুইডেন বলেছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’।

এদিকে, রাশিয়ার এই বহিষ্কারকে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

অ্যালেক্সি নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক। ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বহিষ্কারাদেশ ঘোষণা করা হয়। ওই বৈঠকেও নাভালনির মুক্তি দাবি করেন জোসেপ বোরেল।

নাভালনিকে কারাবন্দি করার প্রতিবাদে গত ২৩ এবং ৩১ জানুয়ারি রাশিয়া জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়।

উল্লেখ্য, নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল নাভালনিকে বলে অভিযোগ। সেই হত্যাচেষ্টায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানিতে। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হন তিনি। অবশেষে ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরামাত্র বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.