কড়াকড়ি নেই ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণে

দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াতে কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল হওয়ায় ধর্মঘট পালন করছেন না স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুইদিন আমরা সফলভাবে ধর্মঘট পালন করেছি। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি। এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কোনো ধরনের সিদ্বান্ত জানানো হয়নি। তবে পর্যটকদের ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণে যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল, তা অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। যে কারণে আমরা আজ ধর্মঘট পালন করছি না।

ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধের প্রতিবাদে সেন্টমার্টিন যাত্রী পরিবহন সমবায় সমিতি, সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট, স্পিডবোট, গামবোট মালিক সমিতি,  ইজিবাইক (টমটম) ও ভ্যানগাড়ি সমিতি রোববার (৩১ জানুয়ারি) তিনদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়।

গত ২ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর ১৪ দফা নির্দেশনা-সংবলিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচার করা হয়।

‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীন, পরিবেশ ও প্রতিবেশবিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের  প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। দ্বীপটিকে রক্ষায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে।

এরমধ্যে রয়েছে-দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো, সৈকত, সমুদ্র ও নাফনদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা, দ্বীপের চারপাশে নৌভ্রমণ না করা, জোয়ার-ভাটা এলাকার পাথরের ওপর দিয়ে না হাঁটা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ছবি না তোলা, সৈকতে রাতেরবেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন না জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস না ওড়ানো, মাইক না বাজানো, হইচই ও উচ্চ স্বরে গান-বাজনা কিংবা বারবিকিউ পার্টি না করা, সরকারের অধিগ্রহণ করা ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে না যাওয়া, জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার না খাওয়ানো ইত্যাদি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.