মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপের পর জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। যদিও এর একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তান সেরি মুহিউদ্দিন ইয়াসিন দেশটির অধিকাংশ এলাকায় ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করেন।

ইতিমধ্যে দেশটির অধিকাংশ ব্যবসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও বিপর্যয়ের মুখোমুখি রয়েছে। জানা গেছে, সোমবারের এক বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের কাছ থেকে অনুরোধ আসার পর জরুরি অবস্থা ঘোষণায় রাজি হয়েছেন দেশটির সুলতান আবদুল্লাহ আহমাদ শাহ।

এদিকে এই জরুরি ঘোষণা ক্ষমতায় টিকে থাকতে মুহিউদ্দিনের রাজনৈতিক চাল বলে দাবি করছেন দেশটির রাজনৈতিক দলের নেতারা। তার মধ্যে মাহাথির মোহাম্মদের মেয়ে মারিনা মাহাথির বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে সরকার নিজের ব্যর্থতার জানান দিয়েছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দেশ শাসন ও জনগণের প্রতি খেয়াল রাখতেও তারা ব্যর্থ। এতে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মুহিউদ্দিন বলেন, পার্লামেন্ট স্থগিত থাকবে এবং কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। প্রয়োজন হলে রাজা নতুন আইন সচল করতে পারবেন। বেসামরিক সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এটি কোনো সামরিক অভ্যুত্থান না এবং কারফিউ বলবৎ করা হবে না। সরকারি হাসপাতালগুলো রোগীদের চাপ নিতে না পারলে বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে সরকার। তবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মালয়েশীয়ার প্রধানমন্ত্রী।

এমন একসময় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন, তখন মুহিউদ্দিনের প্রধান জোটমিত্ররা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এতে সরকার পতন ও আগামী নির্বাচন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত।

উল্লেখ্য, দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৫৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১ লক্ষাধিক মানুষ। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.