সংসদ সদস্য হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিমের বিষয়ে আদালতে দেওয়া চকবাজার থানা পুলিশের প্রতিবেদন নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযানে যা পাওয়া গেছে তাই র্যাব মামলায় দেখিয়েছে এবং সেভাবেই মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তাদের তদন্তে যা পেয়েছে তারা তাই দাখিল করেছে।
আজ মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন র্যাব ডিজি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ইরফান সেলিমের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন, সেটি আদালত বুঝবে।
প্রসঙ্গত, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তার কাছে কোনও অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ পুলিশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কুদরত-ই খুদা গণমাধ্যমকে বলেন, ইরফান সেলিমের দুই মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ও মাদক মামলা ছিল তা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে পাওয়া অস্ত্র ও মাদক কি হলো জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, অস্ত্র ও মাদক তার সহযোগীর কাছে পাওয়া গেছে। তার কাছে পাওয়া যায়নি। এখন সেগুলো মালখানায় আছে। পরবর্তীতে আদালতে জমা দেওয়া হবে।
ডিএমপির চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া এই দুটি মামলারই বাদী ছিল র্যাব। মামলার দুই মাসের মাথায় এ প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় র্যাব অভিযান চালায়। র্যাব হাজি সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.